লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৫বছর পূর্বে আকস্মিক বন্যায় দেবে গিয়েছিল সেতুটি। বর্ষাকালে সেই সেতুর অর্ধেকের বেশী অংশ পানিতে নিমজ্জিত থাকে। দীর্ঘ ৫বছরে সেতুটির সংস্কার বা নতুন করে সেতুও তৈরি না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে প্রায় ৫টি গ্রামের সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়েনের সতিরপাড় এলাকায় দীর্ঘ ৫বছর অতিবাহিত হয়ে গেলে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বর্ষা মৌসুম আসলে সীমাহীন দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে পরেন ওই এলাকার মানুষ। চলতি বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি উঠেছে চরমে।
পূর্বপাড়া, আমিনগঞ্জ, মটের পারসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা যেতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আমাদের ৬ থেকে ৭কিলোমিটার ঘুরে চলাফেরা করতে হয়। তাছাড়া আমাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম জানান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। আমাদের পক্ষ থেকে সেতুটি পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ মহোদয়ের সুপারিশ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সেতুটি মেরামতের বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। বর্তমানে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য অস্থায়ীভাবে সাঁকো তৈরির কাজ শুরু হবে।
এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি সেতু নির্মাণের। সেতুটি নির্মিত হলে শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনেতিক উন্নয়ন ও লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে জানান স্থানীয় ব্যক্তিরা।